শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
শুক্রবার GBP/USD পেয়ার উল্লেখযোগ্য দরপতনের শিকার হয়েছে, যা আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ এবং খুচরা বিক্রয়ের প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফলের কারণে উদ্দীপিত হয়েছিল। তিনটি প্রতিবেদনের ফলাফলই প্রত্যাশার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে নেতিবাচক ছিল, যা ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতনকে পুরোপুরিভাবে যৌক্তিক করে তুলেছে। তবে, আমরা দীর্ঘদিন ধরে জোর দিয়ে বলে আসছি যে এই ধরনের প্রতিবেদন ছাড়াও পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকা উচিত। এই পরিস্থিতি এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে।
পাউন্ড অত্যধিক ক্রয় করা হয়েছে এবং অযৌক্তিকভাবে ব্যয়বহুল রয়ে গেছে, মার্কেটের ট্রেডাররা ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি নমনীয়করণের বিষয়টি ইতোমধ্যেই মূল্যায়ন হয়েছে, এবং সামগ্রিকভাবে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। এর অর্থ এই নয় যে আগামী কয়েক মাস ধরে প্রতিদিন পাউন্ডের দরপতন হতে থাকবে। কারেকশন এবং রিকোভারির সম্ভাবনা থাকবে। তবে সামগ্রিকভাবে যেকোনো ধরনের মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি নির্বিশেষে ব্রিটিশ মুদ্রার আরও দরপতনের প্রত্যাশা।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, শুক্রবার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই পেয়ারের ৯০ পিপস দরপতন হয়েছে। তুলনামূলকভাবে, ইউরোর মূল্য ১৫০ পিপস কমেছে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে আবারও পাউন্ড ডলারের বিপরীতে বেশি স্থিতিশীলতা প্রদর্শন করেছে, তবে এটি এই পেয়ারের দরপতন ঠেকাতে পারেনি। মূল্য 1.2547 এর লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর ট্রেডাররা শর্ট পজিশনে এন্ট্রি করতে পারতেন, যা লাভজনক হতো। পরে, এই পেয়ারের মূল্য 1.2502-1.2508 এরিয়ার বেশ কয়েকবার বাউন্স করেছিল, তবে এই সময়ে লং পজিশনে এন্ট্রি করাটা সম্ভবত ভালো সিদ্ধান্ত হতো না।
সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
এক ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। আমরা মাঝারি মেয়াদে এই পেয়ারের আরও দরপতনের সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করছি, কারণ আমরা মনে করি এটিই একমাত্র যৌক্তিক ফলাফল। গত সপ্তাহে পাউন্ডের মূল্যের কারেকশনের কারণ থাকা সত্ত্বেও কোনো কারেকশন হয়নি। এই পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে কারণ এই পেয়ার বিক্রি করার জন্য ট্রেডারদের বিশেষ কোনো অনুঘটকের প্রয়োজন নেই।
সোমবার, যদি নতুন সেল সিগন্যাল গঠিত হয়, তাহলে নতুন ট্রেডাররা চলমান নিম্নমুখী মুভমেন্ট থেকে লাভবান হওয়ার সুযোগ খুঁজতে পারে।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে আপনি 1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2754, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993 লেভেলে ট্রেড করতে পারেন। সোমবার যুক্তরাজ্য বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তাই শক্তিশালী মুভমেন্টের সম্ভাবনা কম। তবে মার্কেটের ট্রেডাররা যেকোনো পরিস্থিতিতে পাউন্ড বিক্রির জন্য প্রস্তুত তা প্রমাণ করেছে, তাই আরও সেল সিগন্যালের বিষয়ে ট্রেডারদের সজাগ দৃষ্টি রাখা উচিত।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।