সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
সোমবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত রাখতে ব্যর্থ হয় এবং মূল্য 1.2613 এর লেভেল ব্রেক করতে পারেনি। ইউরোর তুলনায় ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্য বৃদ্ধির জন্য কোনো অতিরিক্ত কারণ ছিল না। যেখানে ইউরো দিনভর সাইডওয়েজ মুভমেন্টের সাথে ট্রেডিং করেছে, সেখানে পাউন্ডের মূল্য আত্মবিশ্বাসীভাবে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। এটি কি যুক্তরাজ্যের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলের কারণে হতে পারে?
দেশটির উৎপাদন সংক্রান্ত PMI 48.0 থেকে 47.3-এ নেমে গেছে, যা পূর্বাভাসের চেয়ে কম ছিল। পরিষেবা সংক্রান্ত PMI 50.8 থেকে 51.4-এ বেড়েছে, যা প্রত্যাশার চেয়ে ইতিবাচক ছিল। ফলে, একটি প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে, যখন অন্যটির ফলাফল হতাশাজনক ছিল। সুতরাং, সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির কারণ হতে পারে না। আমাদের বিশ্বাস, এর কারণ ছিল 1.2613 এর লেভেল, যা পূর্বে সাপোর্ট হিসেবে কাজ করেছিল। ফলে, এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের সম্ভাবনা এখনও প্রাসঙ্গিক রয়ে গেছে। এই সপ্তাহে বেশ কয়েকটি মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা মার্কেটে যেকোনো দিকে মুভমেন্ট ঘটাতে পারে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
সোমবার, 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে রাতে যখন মূল্য 1.2613 লেভেল থেকে বাউন্স করেছিল তখন মূলত একমাত্র ট্রেডিং সিগন্যালটি গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় সেশনের শুরুতে মূল্য এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে 10-11 পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করে, তাই একটি বাই পজিশন ওপেন করা যেত। মার্কিন সেশনের সময় মূল্য 1.2680-1.2685 এরিয়ায় পৌঁছেছিল, যেখানে টেক প্রফিট সেট করা যেত।
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন সম্পন্ন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, তবে এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। আমরা মাঝারি মেয়াদে পাউন্ডের দরপতনের সম্ভাবনাকে পুরোপুরিভাবে সমর্থন করছি, কারণ এটিকে আমরা একমাত্র যৌক্তিক পরিস্থিতি হিসেবে বিবেচনা করছি। তাই শীঘ্রই ব্রিটিশ মুদ্রার আরও দরপতনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে, তবে এই সপ্তাহে মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা জরুরি।
মঙ্গলবার, নতুন ট্রেডাররা 1.2680-1.2685 এরিয়া থেকে ট্রেড করতে পারেন। এই পেয়ারের মূল্য এই এরিয়া ব্রেক করে নিচের দিকে গেলে সেটি নতুন করে মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনা নির্দেশ করবে।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নলিখিত লেভেলগুলো প্রাসঙ্গিক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে: 1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993। মঙ্গলবার, যুক্তরাজ্যে বেকারত্বের হার, জবলেস ক্লেইম এবং মজুরি বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে যা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে বিবেচনা করা যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, শিল্প উৎপাদন এবং খুচরা বিক্রয় সম্পর্কিত তুলনামূলকভাবে আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল পূর্বাভাস থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন হলে সেটি দৈনিক ভিত্তিতে এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্টের কারণ হতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।